মরণব্যাধি এইডসকে রুখতে ও বিশ্ব সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর দেশে দেশে পালিত হয় বিশ্ব এইডস দিবস। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশে যথাযথ উদ্যোগের মধ্যদিয়ে পালিত হচ্ছে দিবসটি।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘কমিউনিটির আমন্ত্রণ, এইডস হবে নিয়ন্ত্রণ’। দিবসটি উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাতে নিয়েছে নানা কর্মসূচি।

এইচআইভি ভাইরাস সংক্রমণের রোগ এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৮৮ সাল থেকে সারা বিশ্বে আজকের দিনে দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্যানুসারে, সারা বিশ্বে এইচআইভি আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা চার কোটি ৫০ লাখ ৫৭ হাজার প্রায়। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৫ লাখ ৩৯ হাজার ৯৫৫ জন।

বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ ২০২২ সালের তথ্য মতে, দেশে অনুমিত এইচআইভি সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ১৪ হাজার ৫১৩ জন। এর মধ্যে এ বছর মৃত্যু হয়েছে ১২০ থেকে ১৩০ জনের। আগের বছর ২০২২ সালে মৃত্যু হয়েছিল ২৩২ জনের।

বাংলাদেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে আক্রান্ত কম হলেও ঝুঁকি বেশি। কারণ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও মিয়ানমার এ রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এইচআইভি সংক্রমণের এখনো কোনো প্রতিকার নেই। তবে কার্যকর এইচআইভি প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধির কারণে বর্তমানে রোগাক্রান্তদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।